মেম্বারের বেতন কত? মহিলা মেম্বারের বেতন কত?
বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রতিটি ওয়ার্ডের একজন করে পুরুষ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন যাকে মেম্বার বলা হয়। অপরদিকে প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জনগণের ভোটের মাধ্যমে একজন মহিলা প্রতিনিধি নির্বাচিত হন যাকে মহিলা মেম্বার বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সংবিধান অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদের এই মহিলা মেম্বার ও পুরুষ মেম্বার সরকারিভাবে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তারা প্রতিমাস হিসেবে কিংবা নির্দিষ্ট একটি সময়ের পর সরকারিভাবে এই পারিশ্রমিক অথবা বেতন লাভ করে থাকেন। আর সেজন্যই আমরা আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে মেম্বার এর বেতন কত এবং মহিলা মেম্বার এর বেতন কত সে সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য তুলে ধরব। কেননা বর্তমান সময়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী তৈরি হয়। তাইতো এই সময় ভোটের সময়ে অনেক প্রার্থীকে দেখা যায়। তাইতো আজকের এই প্রতিবেদনটিতে মেম্বার এর বেতন কত এবং মহিলা মেম্বারের বেতন কত সে সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন করেছি।
বাংলাদেশের সব থেকে স্থানীয় নির্বাচন হচ্ছে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচন। বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর এই স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনের প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং প্রতি ওয়ার্ডের জন্য একজনকারী ইউপি সদস্য এবং প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে মহিলা সংরক্ষিত প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ইউনিয়নের প্রধান যিনি নির্বাচিত হন তাকে চেয়ারম্যান বলা হয় এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন যাদেরকে মেম্বার বলা হয়। অপরদিকে প্রতি তিন ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রতিনিধিকে মেম্বার মহিলা মেম্বার বলা হয়। এই প্রতিটি প্রতিনিধি সমাজের অথবা ইউনিয়ন পরিষদের বসবাসকারী প্রতিটি নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তারা জনস্বার্থে এবং জনগণের সকল শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নির্বাচিত হন এবং তাদের দায়িত্ব হল ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি অরাজকতামূলক ও অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি মানুষের মাঝে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। তাইতো প্রতি পাঁচ বছর পর পর নতুন করে ভোটের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের এই সদস্য গণ নির্বাচিত হয়ে থাকেন।
মেম্বার এর বেতন কত?
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য একজন পুরুষ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাকে মেম্বার বলা হয়। যিনি একটি ওয়ার্ডের সকল দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করার চেষ্টা করে থাকেন এবং ওয়ার্ডের সকল ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলোতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে তিনি একটি ওয়ার্ডের জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করে থাকেন। বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট একটি পারিশ্রমিক প্রদান করে থাকেন। যা প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বার গণ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের বেতন সম্পর্কে তথ্যগুলো বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে থাকেন। তাদের জন্য আজকে মেম্বার এর বেতন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেছি যেগুলো আপনাদের ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডের মেম্বার এর নির্দিষ্ট পারিশ্রমিক সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। নিচে মেম্বারের বেতন কত তা তুলে ধরা হলো:
মেম্বার এর বেতন ৮,০০০ টাকা
মহিলা মেম্বারের বেতন কত?
মহিলা মেম্বার বলতে বোঝায় সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রতিদিন ওয়ার্ড মিলে একজন মহিলা প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়াকে মহিলা মেম্বার বলে থাকেন। যিনি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত হন এবং তিনটি ওয়ার্ডে তার কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে যেগুলো তাকে পালন করতে হয়। তারে দায়িত্ব কর্তব্য গুলোর মধ্যে তিনি তিনটি ওয়ার্ডের প্রতিটি অনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং বিশৃঙ্খলা মূলক কর্মকাণ্ড দূর করে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার দিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এছাড়া মানুষের বিভিন্ন ধরনের জটিলতাকে দূর করার চেষ্টা করে থাকেন। তার কিছু ক্ষমতা রয়েছে যার মাধ্যমে তিনি তার দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচিত এই মহিলা প্রতিনিধি ও মাস শেষে একটি বেতন পেয়ে থাকেন। তার এই বেতন সম্পর্কে অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এজন্যই আজকে তুলে ধরেছি মহিলা মেম্বারের বেতন কত সকল তথ্য। তাই দেরি না করে আপনারা মহিলা মেম্বারের বেতন কত তথ্য গুলো দেখে নিন।
মহিলা মেম্বারের বেতন – ৫,০০০ টাকা