নিয়ম

ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানের শিক্ষকদের বক্তব্য? বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য?

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুল কলেজ অথবা মাদ্রাসায় বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায়ী উপলক্ষে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাধ্যমে আয়োজিত হয়ে থাকে। এই দিনটি উপলক্ষে প্রতিটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করে থাকে। বিদায় অনুষ্ঠান মূলত প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে উদযাপিত হয়। তাইতো এই বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা কিংবা শিক্ষকমন্ডলী বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়ে থাকেন। এই ভাষণ গুলোতে প্রতিটি বিদায়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপদেশ মূলক বাণী গুলো প্রচার করা হয়। সেই সাথে জ্ঞানীগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তাদের মাঝে উপস্থাপন করে তাদের জীবনের উদ্দেশ্য গুলো পূরণ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়। এজন্যই আজকে আমাদের প্রতিবেদনটিতে বিদায়ী ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকের বক্তব্য ও বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যাই স্কুল হোক কিংবা কলেজে প্রতিটি বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে সাহায্য করবে।

একজন মানুষ তার শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। প্রতিটি মানুষ জন্মের নির্দিষ্ট কিছুদিন পর প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রয়োজন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হয়ে থাকে। প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষা সম্পন্ন করার মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থী প্রাথমিক জীবনকে বিদায় জানিয়ে সেখান থেকে বিদায় নিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ভর্তি হয়ে থাকে। মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণের পর এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বিদায় নিতে হয়। স্কুল থেকে বিদায় নিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী কলেজ জীবনে পদার্পণ করে থাকে এখানেও নির্দিষ্ট সময়ের পর তাদেরকে বিদায় নিয়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূলত বিদায় শব্দটি যুক্ত রয়েছে। এটি একদিকে যেমন চিরজেনা বিদ্যাপীঠ ছেড়ে যেতে শিক্ষা দিতে মনে কষ্ট দিয়ে থাকে অপরদিকে নতুন কে জানার উদ্দেশ্যে তাদের মনে আনন্দ দিয়ে থাকে। তাইতো তাদের বিদায় উপলক্ষে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিদায় অনুষ্ঠানের দিনটি উদযাপন করা হয়।

ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের বক্তব্য?

স্কুল ও কিংবা কলেজ হোক প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদায় উপলক্ষে শিক্ষকগণ বিদায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য ও ভাষণ প্রদান করে থাকেন। বিদায় অনুষ্ঠানের ভাষণ গুলোতে একজন শিক্ষক বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বাণীগুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে অশ্রুসিদ্ধ নয়নে তাদের স্নেহ ভালোবাসা কথাগুলো জানিয়ে দেন। বিদায় অনুষ্ঠানে মূলত প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক এই বাণীগুলো তুলে ধরেন তাদের সারা জীবনে এই বাণীগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাইতো বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে অনেকেই ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানের শিক্ষকদের বক্তব্য গুলো জানতে চান। তাদেরকে জানাতেই মূলত আজকের এই প্রতিবেদনটি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে প্রতিটি বক্তব্য অত্যন্ত মার্জিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নিচে ছাত্রদের বিদায় অনুষ্ঠানের শিক্ষকদের বক্তব্যগুলো উপস্থাপন করা হলো:

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

কত বুক ভাঙ্গা গোপন ব্যথায় আজ কতগুলি প্রাণ কাঁদিতেছে কোথায়- পথিক! ওগো অভিমানী দূর পথিক! কেহ ভালবাসিল না ভেবে যেন আজো মিছে ব্যথাপেয়ে যেয়োনা,যাবে যাও, তুমি বুকে ব্যথা নিয়ে যেও না। আজ এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান থেকে তোমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ের দিন । সময়ের প্রয়োজনে তোমাদের চলে যেতে হচ্ছে বৃহত্তর দিগন্তরের প্রাণে। কালের কালের আমোঘ নিয়তিতে এভাবে চলে আসা- যাওয়ার পর্ব। তবু, আমাদের হৃদয়ের আজ অত্যন্ত দুঃখ ভরাক্রন্ত।

বিদায়, যেন পাতা ঝরা নিঃশব্দ কোনদিন

অভিযাত্রীক,

এই প্রতিষ্ঠানে তোমাদের যেতে মধুর অনেকগুলো দিন কেটেছে। তোমাদের পদভারে এই প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। কঠোর অধ্য বসায়, নিরলস শ্রম আন্তরিক আগ্রহের নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনার তোমরা সর্বদাই সচেষ্ট ছিলে, আজ ভবিষ্যতের সিঁড়িতে তোমরা যখন প্রজ্ঞার ছায়া ফেলতে চাচ্ছো তখনই বলি…

এই প্রতিষ্ঠানের স্মৃতিময় দিনগুলো আর প্রিয় শিক্ষক- শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক অবদানের কথা যেন তোমরা ভুলে না যাও।এই বিদ্যানিকেতনের অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য যেন হয় তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রেরণা। তোমাদের সাথে আমাদের প্রীত্রিময় বন্ধন যেন অটুক থাকে আজীবন।

হে আলোর পথের যাত্রীরা, তোমরা দেশের আগামী দিনের কর্ণধার। তোমাদের অভিজ্ঞতা, অধ্যবসায় ও কর্তব্য নিষ্ঠা, সংযত আচরণ ,বিনম্র মনেবৃত্তি,সুনির্দিষঠ লক্ষ্যাভিসার, গভীর পাঠানো রাগ তোমাদের দান করুক মহত্ত্বের চারিত্রিক সম্পদ। মনে রেখো, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন। শহীদের রক্ত তোমরা বৃথা যেতে দিও না।

জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্র অন্ধকার ঘুছিয়ে তোমরা গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। হে বন্ধুরা, প্রত্যেক মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। প্রত্যক্ষ মানুষের অবশ্য কর্তব্য হলো শিক্ষা গ্রহণ করা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করতে হয়। অর্জিত জ্ঞানী সত্যি কারের জ্ঞান। পুস্তক সহায়ক শক্তিমাত্র। বিদ্যালয়ে আসে সবাই, আবার চলে যাবে সবাই। জীবনের এই নব দিগন্তরের উদ্দেশ্য তোমাদের এই অভিযাত্রা তোমাদের সামনে সোনালী দিন বয়ে আনুক।

গুরুজনদের বল উচ্চারিত কিছু বানী আজকের এই দিনে আমি তোমাদের মনে করিয়ে দিতে চাই..

*কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভাবনা চিন্তা করবে।

*সকলকে সম্মান করো। বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অচেনা মানুষদেরও।

*কাউকে দেখামাত্র তার সম্পর্কে ধারণা করে নিও না। একদিনে কাউকে চেনা যায় না।

*যে তোমায় সাহায্য করেছে তাকে কখনো ভুলে যেও না।

* দুর্নীতিতে কখনো প্রশ্রয় দিও না।

তোমাদের কর্মনিষ্ঠ, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফসল নিয়ে তো মারা আনন্দে উদ্বেলিত হবে, আজকের এই বিদায় অনুষ্ঠানে সেদিনের প্রত্যাশা করছি। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি তোমরা সুস্থ থাকো, দীর্ঘ জীবী হও, তোমাদের জীবন আনন্দে ভরে উঠুক। আমাদের স্মৃতিপটে চির স্মরণীয় হয়ে থাকুক আজকের এই দিনে প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি মুহূর্ত।

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,

অতীতেরতীর হয়ে যে রাত্রে বহিব, দীর্ঘ শ্বাস,ঝরা বকুলের কান্না ব্যথিবে আকাশ,সেই ক্ষণে খুঁজে দেখো- কিছু মোর পিছে রহিলো সে তোমার প্রানের প্রান্তে: বিস্মৃতিপ্রদোষে হয়তো দিবে সে যদি, হয়তো ধরিবে কভু নাম- হারার স্বপ্নের মুরতি।

পরিশেষে প্রাণপ্রিয় সকল ছাত্র- ছাত্রীর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে । “ খোদা হাফেজ”

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য?

বিদায় অনুষ্ঠান মূলত বিদায়ী শিক্ষার্থীদের জাঁক জমক ভাবে বিদায় জানানোর উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বিদায় অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের উপদেশমূলক বক্তব্য ভাষণ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরার মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এছাড়া প্রতিটি বিদায় অনুষ্ঠানে বিদায়ী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মূলত সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বিদায় অনুষ্ঠানে বিদায় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অথবা গণ্যমান্য ব্যক্তি এছাড়া শিক্ষকগণ বক্তব্য প্রদান করেন। তাই আজকে সকলের উদ্দেশ্যে বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যা প্রতিটি বিদায় অনুষ্ঠানে প্রদান করে বিদায়ীদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান কথা জানাতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *