কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য?
প্রতিবছর কলেজের শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একটি কলেজে শিক্ষা ধাপ শেষ করার মাধ্যমে মূলত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে কলেজ থেকে বিদায় নিতে হয়। আর কলেজের এই শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে প্রতিটি কলেজ থেকে বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই বিদায়ী অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাষণ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। মূলত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিদায়ী উপলক্ষে কলেজের শিক্ষক মন্ডলী অথবা মান্যগণ্য ব্যক্তিগণ এছাড়াও কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থী বিদায়ী ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রদান করে থাকে। তাইতো প্রতিবছর কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদায়ী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনেকেই বক্তব্য গুলো খুজে থাকে। আমাদের ওয়েবসাইটে আজকে তাদের জন্য কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য গুলো তুলে ধরা হলো। যেখান থেকে আপনার পছন্দনীয় বক্তব্য সংগ্রহ করে কলেজের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রদান করতে পারবেন।
প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসএসসি কিংবা এসএসসি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই বিরিয়ানি অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থী পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে থাকে এবং সেইসাথে চিরচেনা সহপাঠীর বন্ধু ও শিক্ষকমন্ডলীদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে থাকে। তাইতো বিদায় অনুষ্ঠানের এই দিনটি প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে অত্যন্ত কষ্টকর। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রীদের বিদায়ী উপলক্ষে এই দিনটিকে জাঁক জমক ভাবে উদযাপন করার আয়োজন করে থাকেন। দিনটিকে স্মরণীয় করে তোলার জন্য তারা বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাষণ সভা এবং তাদের উপদেশমূলক বক্তব্য প্রদান করেন যা একটি শিক্ষার্থীর সারা জীবন অনুসরণ করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান পেয়ে থাকে। এই বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্যগুলোকে মূলত প্রতিটি শিক্ষার্থী জীবনে উপদেশ মূলক বাণী হিসেবে গ্রহণ করে আদর্শ শিক্ষকের এই নীতিগুলো প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা মেনে চলার চেষ্টা করেন।
কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য
প্রতিবছর এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে কলেজের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের দিনটি উপলক্ষে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষকমন্ডলী ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে দিনটিকে আয়োজন করার চেষ্টা করে থাকেন। প্রতিটি বিদায়ী বড় ভাইবোনের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য প্রদান করে তাদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকেন। এই দিনে শিক্ষক মন্ডলী বিদায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ যে বক্তব্যগুলো প্রদান করেন তার একটি শিক্ষার্থীর সারা জীবনে কাজে লাগে। তাইতো কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের সকল বক্তব্য আজকে আমরা উপস্থাপন করেছি। যা থেকে কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানের দিনে বক্তব্য প্রদান করার বিষয়ে সবাইকে সাহায্য করবে। নিচে কলেজের ভিতরে অনুষ্ঠানের বক্তব্য গুলো তুলে ধরা হলো:
সর্বপ্রথম প্রধান শিক্ষক মহাশয় ও সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা মন্ডলীকে জানাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা। আমার সহপাঠী বন্ধুদের জন্য ভালোবাসা, ভাই ও বোনদের জন্য আমার উষ্ণ অভ্যর্থনা। আজকের এই মঞ্চে বক্তৃতা দিতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত ধন্য মনে করছি। সত্যি সত্যি আমি আজকের দিনটা আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে আমি যেমন আবেগপ্রবণ হচ্ছি, ঠিক তেমনি এক দুর্বলতা আমাকে যেন ঘিরে ধরেছে।কেহই চায়না যে তার কলেজ জীবনের সমাপ্তি ঘটুক, যেহেতু এটা কারোর জীবনে সবচেয়ে সেরা সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। কেউই তার স্মৃতি বিজড়িত স্কুলের দিনগুলি ছেড়ে যেতে চায়না।কিন্তু ঠিক তখনই হঠাৎ মনে পড়েTime and tide wait for none” ‘ সময় এবং স্রোত কারো জন্য থেমে থাকে না তাই আমাদের অবশ্যই সম্মুখ পানে অগ্রসর হতেই হবে। যেহেতু আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে। স্কুল জীবনের সমস্ত ক্ষেত্রে ভালোবাসা, সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য হেড স্যারের পাশাপাশি সমস্ত স্যার ও ম্যাডামদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমি খুব নিশ্চিত যে তাদের কাজ থেকে পাওয়া জীবনের অমূল্য শিক্ষা আমাদেরকে সফলতার সিঁড়ি আহরোণ করতে সাহায্য করবে। আসলে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী ছাত্র-ছাত্রী বড় ও ছোট ভাই বোন বন্ধুরা একে অপরের প্রতি খুববন্ধুত্ব পূর্ণ এবং একে অন্যের সহায়ক ছিলাম। এই বিশেষ সম্পর্ক ও বন্ধন যেটা আমরা একে অপরকে শেয়ার করেছি সেটা সারা জীবন ধরে আমাদের হৃদয়ের প্রাঙ্গণে গেঁথে থাকবে এবং আমরা অবশ্যই সব সময়ের জন্য কাটানো এই সমস্ত সুন্দর মুহূর্ত গুলো স্মরণ করতে থাকবো। কেউ কখনো জীবনে বিদায় দিতে কিংবা নিতে চায় না কিন্তু এটাই জীবনের চরমতম সত্য একটি ব্যাপার। তাই এ বিষয়টিকে খুব হালকাভাবে নেওয়া উচিত যেহেতু এই বিদায়ের মাধ্যমেই আমরা এক নতুন জগতে প্রবেশ করব। আমাদের খুব বেশি আবেগপ্রবণ না হয়ে বরংখুশি হওয়া উচিত যেহেতু আজকের দিনের মাধ্যমে আমরা অদৃশ্যকে দেখার এবং অজানাকে জানার সুযোগ অর্জন করব।
পরিশেষে আমি আবারো সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা কর্মী বন্ধুবান্ধব ভাই-বোনদের তাদের সীমাহীন সহযোগিতা, দয়া ও ভালোবাসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।