মাদ্রাসার ছুটির দরখাস্ত? মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রয়োজনে ছুটি নিতে হলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট দরখাস্ত কিংবা আবেদন পত্র ও জমা দিতে হয়। শুধুমাত্র একজন শিক্ষার্থীর ছুটির জন্য আবেদন পত্র কিংবা দরখাস্ত লিখে না একটি আবেদন কিংবা দরখাস্তে একটি শিক্ষার্থীর বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তুলে ধরা হয় এছাড়াও আর্থিকভাবে বিদ্যালয় তহবিল থেকে সাহায্য পেতে হলে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের দরখাস্ত বা আবেদনপত্র শিক্ষকের জমা দিতে হয়। এটি ইস্কুল হোক কিংবা মাদ্রাসা হোক প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রয়োজন। তবে স্কুল ও মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। আজকে আপনাদের জন্য এজন্যই আমরা মাদ্রাসার ছুটির দরখাস্ত ও মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো উপস্থাপন করেছি। যেগুলো প্রতিটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সংগ্রহ করার মাধ্যমে তাদের যে কোন বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের নিকট দরখাস্ত লিখতে পারবে। যা তাদেরকে সমস্যার সমাধান দিতে সাহায্য করবে।
দরখাস্ত কিংবা আবেদনপত্র এমন একটি পাত্র যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের সমস্যার থাকতে পারে ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর ছুটি কিংবা তাদের প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে প্রতিষ্ঠান প্রধান অথবা যে কোন শিক্ষকের কাছে মার্জিতভাবে তুলে ধরার জন্য দরখাস্ত অথবা আবেদন পত্র লিখে থাকে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী অথবা মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও প্রতিটি শিক্ষার্থীর দরখাস্ত অথবা আবেদন পত্রের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানের সময় দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করা নিয়ম চালু করা হয়েছে যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাইতো প্রতিনিয়ত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কুল অথবা মাদ্রাসায় উপস্থিত থেকে নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেক সময় একজন শিক্ষার্থী স্কুল অথবা মাদ্রাসায় উপস্থিত হতে পারেনা। যার কারণে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট তাদেরকে অনুপস্থিতির কারণ উল্লেখ করতে হয় এবং ছুটি মাফের জন্য আবেদন অথবা দরখাস্ত জমা দিতে হয়। তাইতো প্রতিটি শিক্ষার্থীর দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে।
মাদ্রাসার ছুটির দরখাস্ত?
একজন স্কুলের শিক্ষার্থীর স্কুলের দরখাস্ত কয়েকজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয়ের দরখাস্ত লেখার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তাইতো প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিকট দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো জানতে হবে। যার কাছে প্রতিটি নিয়ম সঠিকভাবে জেনে নেওয়ার মাধ্যমে সুস্পষ্টভাবে একটি দরখাস্ত লেখা সম্ভব। তাই আজকে আমরা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার ছুটির দরখাস্ত সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরেছি। যেখানে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ছুটির আবেদন সম্পর্কিত তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে এবং দরখাস্তটি তুলে ধরা হয়েছে। যা সঠিকভাবে প্রতিটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে দরখাস্ত লিখতে এবং মাদ্রাসার প্রধানের নিকট থেকে ছুটির জন্য আবেদন করতে সাহায্য করবে। নিচে মাদ্রাসার ছুটির দরখাস্তটি উপস্থাপন করা হলো:
তাং: ০৭/০৮/২০২৩
বরাবর
প্রধান শিক্ষক
হাটহাজারী দাখিল মাদ্রাসা
ঢাকা,বাংলাদেশ
বিষয়: অগ্রিম ছুটির জন্য দরখাস্ত
জনাব,
বিনীত নিবেদক এই যে, আমি আপনার মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর একজন ছাত্র। আগামীকাল আমার বড় ভাইয়ের বিবাহ সম্পন্ন হবে। তাই আমি ০৮-০৮-২০২২ থেকে ১০-০৮-২০২২ তারিখ পর্যন্ত আপনার কাছে ছুটি চাচ্ছি।
অতএব, আপনার নিকট আকুল আবেদন উপরোক্ত তারিখ অনুসারে আমাকে তিন দিনের ছুটি মঞ্জুর করুন।
নিবেদক
মোহাম্মদ রাব্বী ইসলাম
হাটহাজারী দাখিল মাদ্রাসা
শ্রেণী: দশম
রোল: ১
মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম?
অনেক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করে যাচ্ছেন। তাদেরকে জানাতে আজকের এই প্রতিবেদনটিতে আমরা মাদ্রাসার দরখাস্ত লেখার সমস্ত নিয়ম অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরেছি। আজকের এই নিয়মগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে প্রতিটি মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তাদের যেকোনো সমস্যার মাদ্রাসার প্রধানের নিকট সমস্যাবলীর উল্লেখ করে দরখাস্ত ভাবে আবেদন পত্র লিখে সমাধান পেতে পারবে। এটি একে অপরের মাঝে শেয়ার করে দিয়ে প্রতিটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে শেয়ার করে সকলকে জানিয়ে দিতে পারবেন। যার মাধ্যমে অনেকের উপকৃত হবে। নিচে মাদ্রাসা দরখাস্ত লেখার নিয়ম গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো:
বরাবর,
অধ্যক্ষ মহোদয়
দারুননাজত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা
ডেমরা , ঢাকা
বিষয়: অনুপস্থির জন্য ছুটির জন্য আবেদন।
জনাব,
বিনীত বিবেদন এই যে, আমি আপনার বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্র। গত কয়েকদিন যাবৎ ২-২-২০২২ ইং থেকে ৪-২-২-২২ ইং পর্যন্ অসুস্থা থাকার কারনে বিদ্যালয়ে আসতে পারিনি।
অতএব বিনীত প্রার্থনা এই যে , আমার উক্ত তিন দিরে ছটি মঞ্জুর করতে জনাবের যেন আঙ্গা হয়।
বিনীত নিবেদক
মো: রাব্বী হোসনে
শ্রেনী:১০ম
রোল নং:১